@লেখক
প্রচেত গুপ্ত জীবনী | সমকালীন বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী লেখক
প্রচেত গুপ্ত (জন্ম: ১৪ অক্টোবর ১৯৬২) হলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক, যিনি আধুনিক শহরজীবনের গল্প, মধ্যবিত্তের টানাপোড়েন এবং মানুষের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে লেখার জন্য পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের সমকালীন ধারায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রও।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
প্রচেত গুপ্তর জন্ম কলকাতার বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ-এ একটি বৈদ্য পরিবারে। বাঙ্গুর বয়েজ স্কুলে পড়াশোনার পর তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। মাত্র বারো বছর বয়সেই তার প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় আনন্দমেলা পত্রিকায়, যা তার সাহিত্য প্রতিভার প্রাথমিক প্রমাণ।
সাহিত্যিক কর্মজীবন
তার সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে আনন্দলোক পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাস “আমার যা আছে” দিয়ে। একই বছরে শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা উপন্যাস “লাল রঙের চুড়ি” প্রকাশিত হয় আনন্দমেলায়। তিনি উনিশ কুড়ি, সানন্দা এবং দেশ পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।
তার গল্প, উপন্যাসের ভাষা সহজ, চরিত্রগুলি জীবন্ত এবং কাহিনিতে থাকে আবেগের সূক্ষ্ম ছোঁয়া। বহু গল্প হিন্দি, ওড়িয়া ও মারাঠি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
চলচ্চিত্রে তার গল্প
তার লেখা অবলম্বনে নির্মিত কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র:
চাঁদের বাড়ি (২০০৭) – পরিচালনায় তরুণ মজুমদার
নেকলেস (২০১১) – পরিচালনায় শেখর দাস, গল্প: চোরের বউ
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
২০২২ সালে এবিপি আনন্দ কর্তৃক "সেরা বাঙালি" পুরস্কারে ভূষিত হন প্রচেত গুপ্ত।
প্রচেত গুপ্তর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ:
আমার যা আছে,আশ্চর্য পুকুর,রূপোর খাঁচা,চাঁদ পড়ে আছে,পঞ্চাশটি গল্প,শূন্য খাম,নীল আলোর ফুল,চোরের বউ,রাজকন্যা,তিন নম্বর চিঠি,কাঞ্চনগড়ের কোকিলস্যার
নির্বাচিত গল্প:
যাদব বাবু মিথ্যে বলেন না,ঝিলডাঙার কন্যা,প্রিয় বান্ধবীকে,দেরি হয়ে গেছে,প্লিজ,দরজাটা খুলুন,কোত্থাও নয়,ছাদে কে হাঁটে,জলে অঙ্ক,আমার পরাণ যাহা চায়,যাবজ্জীবন,কল্যাণপুরের কাণ্ড,শহিদ ভূপতি সেন কলোনি,অপারেশন সিংহদুয়ার,স্বপ্নের চড়াই,সুদক্ষিণা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
বার পড়া হয়েছে
বইসমগ্র