@লেখক
।পারিবারিক পটভূমি ও শিক্ষাজীবন
অঙ্গবাদ্য কায়স্থ রায় পরিবার—বাবা নিমাইচরণ রায় রামেশ্বরপুরে থেকে ঢেঙ্কানলে রাজ্য সূত্রে চাকরী করেন, ও মা হেমনলিনী কটকের 'পালিত' বংশের মেয়ে। অন্নদাশঙ্কর ঢেঙ্কানলে বেড়ে ওঠেন। তাঁর ছাত্রজীবন শুরু পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাট্রিক (১৯২১), তারপর আই.এ ও বি.এ—দু'টিতেই ইংরেজি সাহিত্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস পরীক্ষায় প্রথম হন এবং ইংল্যান্ডে গিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি ও প্রশাসনের প্রতি নিবেদিত করেন।
১৯৩৬‑এ প্রথম পদ লাভ—নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। পরের বছর কুমিল্লা—জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৪০–১৯৪৯ সালব্যাপী তিনি আদ্যন্ত সরকারি চাকুরে ছিলেন, এবং পূর্ণতা পায় বিচার বিভাগের সেক্রেটারি (পশ্চিমবঙ্গ, ১৯৫০)। ১৯৫১‑এ চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে সাহিত্যভুবনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। ১৯৮৬‑এ তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’, যেখানে তিনি প্রথম সভাপতি হিসেবে আজীবন কাজ করেন।
অন্নদাশঙ্কর রায় কবিতা ও গদ্য উভয়শৈলীতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: সত্যাসত্য (৬ খণ্ড),অজ্ঞাতবাস,দুঃখমোচন,অপসারণ,আগুন নিয়ে খেলা,অসমাপিকা (সহ আরও বহু)
অন্নদাশঙ্কর রায় প্রবন্ধ, বিশেষ করে অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রবন্ধ সমালোচনা–তে গরিষ্ঠ আওয়াজ সৃষ্টি করেন—যেমন:
ছড়াকার হিসেবেও তাঁর ভাবনার চিত্রে রয়েছে সূক্ষ্মতা—যেমন অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়া, বিনুর বই।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে তাঁর ইংল্যান্ড-ভ্রমণ বা পাদদেশীয় ইউরোপ, জাপান বিষয়ক রচনাগুলি অত্যন্ত তথ্যবহুল ও বর্ণনামূলক।
দীর্ঘ জীবন ও প্রশাসনিক দায়িত্ব—তার পরিপার্জিত সাহিত্যের ছত্রে, জন্মভূমির প্রতি মমত্ব ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি অবিচল ভালবাসা—এইসব ‘অন্নদাশঙ্কর রায়’ নামকে এক স্মরণীয় উপস্থিতিতে রূপান্তর করে। কবিতা, গদ্য, উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ, ভ্রমণরচনাই তাঁর বহুমাত্রিক নিদর্শন।
বার পড়া হয়েছে
বইসমগ্র