
রুণু

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
লালটু বৈরাগী ছিল জমিদারের মাহুত। বেশি বয়স নয় তার। বাইশ—তেইশ হবে, আর যে হাতিটায় সে মাহুত হয়ে চাপত সেটা ছিল বিশাল আকারের। রাস্তা দিয়ে যখন চলত মনে হত একটা পাহাড় হেঁটে যাচ্ছে।
বারবাড়ির মাঠে আমরা খেলতাম, খেলুড়িদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্টু ছিল রুণু নামের একটা ছেলে, তার মতো বাঁদর ছেলে কমই হয়। ছ্যাকরাগাড়ির ঘোড়াগুলিকে গাড়োয়ানরা ওই মাঠে ছেড়ে দিয়ে যেত ঘাস খাওয়ার জন্য। রুণু নারকেলের দড...