@লেখক
শিবরাম চক্রবর্তী(১৩ ডিসেম্বর ১৯০৩ – ২৮ আগস্ট ১৯৮০) শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প‑গুলোতে হাস্যরস আর সমাজ-চিত্রের মিশেলে তাঁর প্রতিভার প্রকট প্রতিফলন ঘটে। সেসব হাসির গল্প‑এ জীবনের প্রতিচ্ছবি ও সম্পর্কের মজা ফুটে ওঠে। কিছু হাসির নাটক‑ও তাঁর পাল্লায়, যা পাঠককে মনোরঞ্জনের পাশাপাশি চিন্তা-ও দেয়।
জীবন পরিমণ্ডল
শিবরাম চক্রবর্তী কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে 'মানুষ' ও 'চুম্বন' কবিতাসঙ্কলন প্রকাশিত হয়, যার মাধ্যমে সাহিত্যকর্মের প্রথম সূচনা হয়। জীবনে রাজনীতি, জেল, ফুটপাতে বাস, সাংবাদিকতা ও মেসবাড়ির সাংসারিক জীবন—সবকিছুই তাঁর লেখা ও চরিত্রোক্তির আলোকে প্রতিফলিত হয়েছে।
সাহিত্য ও লেখালেখি
শিবরাম চক্রবর্তী রচনা সমগ্র বেশ বিস্তৃত—উপন্যাস, কবিতা, ছোট গল্প, প্রবন্ধ, নাটক সবই আছে। সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর উপন্যাস ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, যা ১৯৫৮‑এ ঋত্বিক ঘটকের হাতে চলচ্চিত্রিতও হয়। উন্নত ছোট গল্পে যেমন ‘হর্ষবর্ধন গোবর্ধনের গল্প’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ।
শিবরাম চক্রবর্তীর ছোট গল্প‑এর সমগ্র তালিকায় রয়েছে শতাধিক গল্প, যেমন ‘হাতির সঙ্গে হাতাহাতি’, ‘অশ্বত্থামা হতঃ ইতি’, ‘মন্টুর মাস্টার’—যা দিয়ে তাঁর সৃষ্টিশীলতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সংবাদ
শিবরাম চক্রবর্তীর পরিবারে দুই ভাই, শিবরাম চক্রবর্তীর গল্পের বড় ভাই ছিলেন—শিবসত্য ও শিবহরি, যাঁদের সত্ত্বা তার স্মৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম কালীন রাজবাড়ির অন্তর্গত পরিবারের কর্ম, ফলে লেখা ও জীবন-সংগ্রাম মিশে রচিত হয়েছে তাঁর সৃষ্টি।
সাহিত্য ও নাট্য
শিবরাম চক্রবর্তীর হাসির নাটক তালিকায় রয়েছে ‘যখন তারা কথা বলবে’—যা পরীক্ষিত বুদ্ধিকরতা ও ভাগ্য-চিন্তার মাধ্যমে হাস্যরসের আনন্দ বহন করে। তাঁর উক্তি ও পর্যবেক্ষণ জীবনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে।
শেষ পর্ব
জীবনের সবটুকু সংগ্রাম শেষে অর্থনৈতিক দুর্দশায় শেষ জীবন যাপন করলেও শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প‑এর সূত্রে তার নাম বাংলা সাহিত্যে চিরন্তনী। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মাসিক ভাতা পেয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বার পড়া হয়েছে
বইসমগ্র