Books Pointer LogoBook
বই লিখুন
No results found
  • হোম

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

@লেখক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন:

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের ১৪ই অক্টোবর মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুর গ্রামে। শৈশবে আলকাপ দলের ওস্তাদ হিসেবে নাচ-গান-অভিনয় করেছেন এবং বাংলার গ্রাম-গঞ্জে ঘুরেছেন। পরবর্তীতে বর্ধমানের নবগ্রামের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরে বহরমপুর কলেজে ভর্তি হন।

কর্মজীবন:

প্রথম জীবনে সাংবাদিক হিসেবে আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। ষাটের দশকে কলকাতায় পাকাপাকি বসবাস শুরু করেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে রাঢ় বাংলার প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের জীবনধারা গভীরভাবে স্থান পেয়েছে। ‘হিজল’ উপন্যাসে তাঁর অভিজ্ঞতা ও প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে।

সাহিত্যিক জীবন:

সিরাজ প্রায় ১৫০টি উপন্যাস ও ৩০০টির বেশি ছোটগল্প লিখেছেন। তাঁর প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস নীলঘরের নটী। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে আছে অলীক মানুষ, তৃণভূমি, হিজলকন্যা, প্রেমের প্রথম পাঠ, উত্তর জাহ্নবী, আশমানতারা, রোডসাহেব, জানগুরু ইত্যাদি।

১৯৯৪ সালে অলীক মানুষ উপন্যাসের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

তাঁর ছোটগল্পসমূহ যেমন— ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু, ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন, তরঙ্গিনীর চোখ, জল সাপ ভালোবাসা, রণভূমি, রক্তের প্রত্যাশা প্রভৃতি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে।

গোয়েন্দা কর্নেল:

তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য ‘গোয়েন্দা কর্নেল নীলাদ্রি সরকার’ চরিত্রটি সৃষ্টি করেন, যিনি একাধারে প্রজাপতি ও অর্কিডপ্রেমী, চুরুট ঠোঁটে পুরানো মিলিটারি অফিসার, আবার শখের গোয়েন্দা। কর্নেল চরিত্রটি কিশোরদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। ‘দেজ পাবলিশিং’ থেকে ‘কর্নেল সমগ্র’ ১৭ খণ্ডে এবং ‘কিশোর কর্নেল সমগ্র’ ৪ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রভাব ও স্বীকৃতি:

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে সিরাজ বলেছেন, “তারাশঙ্কর তো হিমালয়, আমি তাঁর তুলনায় উইঢিবি মাত্র।” সিরাজ ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন, যা তাঁকে বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ স্থান দিয়েছিল। সত্যজিৎ রায়ও তাঁর কর্নেল গল্পে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

মৃত্যু:

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ২০১২ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

০

ফলোয়ার্স

১০২

বইসমগ্র