@লেখক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক, উপন্যাসিক, কবি এবং সাংবাদিক। তাকে বাংলা উপন্যাসের পথিকৃৎ বলা হয় এবং তিনি "বন্দে মাতরম্" গানের রচয়িতা, যা পরবর্তীতে ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ডেপুটি কালেক্টর, এবং মা দুর্গাসুন্দরী দেবী ছিলেন ধর্মপরায়ণা নারী।
তিনি প্রথমে হুগলি কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন এবং পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৫৮ সালে তিনি "ব্যাচেলর অব আর্টস (B.A)" ডিগ্রি লাভ করেন, যা তাকে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম স্নাতকদের একজন হিসেবে পরিচিত করে।
বঙ্কিমচন্দ্র ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন। চাকরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান এবং বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে থাকেন।
বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের সূচনা করেন। ১৮৬৫ সালে তার প্রথম উপন্যাস "দুর্গেশনন্দিনী" প্রকাশিত হয়, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়।
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ—
তার রচিত অনেক উপন্যাসই সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গঠিত।
বঙ্কিমচন্দ্রের রচিত "বন্দে মাতরম্" গানটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। গানটি ১৯৫০ সালে ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়।
তিনি সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতির দিকেও দৃষ্টি দেন। তার লেখা "লোকরহস্য", "বঙ্গদর্শন" পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধসমূহ বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরলোকগমন করেন। তবে তার সাহিত্যকর্ম আজও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তার উপন্যাস ও দেশপ্রেমিক চিন্তাধারা আজও পাঠকদের অনুপ্রাণিত করে।
🔥 "বন্দে মাতরম্" – এই একটি গানই তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
ফলোয়ার্স
বইসমগ্র