@লেখক
জগদীশ গুপ্ত (জন্ম: ৫ জুলাই ১৮৮৬, কুষ্টিয়া - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল ১৯৫৭) বাংলা সাহিত্যের অগ্রগামী কথাশিল্পী হিসেবে খ্যাত। তাঁর ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রারম্ভিক জীবন
জন্মস্থান: ফরিদপুর জেলার খোর্দ মেঘচারমি গ্রাম (পৈতৃক নিবাস)
শিক্ষা: কলকাতা সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯০৫), রিপন কলেজে এফ.এ (অসমাপ্ত)
পেশা: টাইপিস্ট (বীরভূম, সম্বলপুর), ব্যবসায়ী, শেষে বোলপুর আদালতে টাইপিস্ট
জগদীশ গুপ্তের ছোট গল্পের শিল্পমূল্য
জগদীশ গুপ্তের ছোটগল্পে শিল্পমূল্য অসামান্য। তার রচনায় জীবনের জটিলতা, মানুষের মানসিক বিকার, এবং সমাজের কদর্য ও অন্ধকার দিকগুলোর বাস্তবচিত্র অঙ্কিত হয়েছে নিপুণভাবে। তিনি ফ্রয়েডের মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব, ফরাসি বাস্তববাদ ও প্রকৃতিবাদ এবং প্রাচ্য সমাজে প্রচলিত নিয়তিবাদী দর্শনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে গল্পগুলোকে করেছেন গভীরতর ও অর্থবহ।
জগদীশ গুপ্তের শ্রেষ্ঠ গল্প
কালো মেয়ে(সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত),টিকটিকি,পুতুলবিবি,বৃদ্ধা,মৃতের আত্মীয়
জগদীশ গুপ্তের গল্পগ্রন্থের নাম
গল্পগ্রন্থ: বিনোদিনী (১৩৩৪), রূপের বাহিরে (১৩৩৬), শ্রীমতি (১৩৩৭), উদয়লেখা (১৩৩৯), শশাঙ্ক কবিরাজের স্ত্রী (১৩৪১), মেঘাবৃত অশনি (১৩৫৪), স্বনির্বাচিত গল্প (১৩৫৭)
জগদীশ গুপ্তের উপন্যাস: জগদীশ গুপ্তের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো— অসাধু সিদ্ধার্থ, লঘুগুরু, দুলালের দোলা, নিষেধের পটভূমিকা, কলঙ্কিত তীর্থ এবং রোমন্থন।
জগদীশ গুপ্ত বাংলা সাহিত্যে মনস্তাত্ত্বিক গল্পের পথিকৃৎ, যাঁর অস্তিত্ববাদী দর্শন ও নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিত্রণ আধুনিক বাংলা গল্পকে নতুন মাত্রা দিয়েছে
বার পড়া হয়েছে
বইসমগ্র