শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
ঘোড়ার মতো জিনিস হয় না। দেখতে যেমন বাহারের, ক্ষ্যামতাও তেমনি দশ মুখে বলার মতো। পরাণ সেই ছেলেবেলা থেকে ঘোড়া দেখে আসছে। তার বাবা গড়ান মণ্ডল ছিল শশীবাবুর আস্তাবলের ছোটো সহিস। মস্ত জমিদার শশীবাবুর ভারি ঘোড়ার শখ। মেলা টাকা খরচ করে দিগ—বিদিগ থেকে ঘোড়া কিনে আনতেন। মোট এগারোখানা ঘোড়া ছিল তাঁর। দুঃখের বিষয় মোটা মানুষ বলে শশীবাবু ঘোড়ায় চাপতে পারতেন না। তাঁর ছিল দেখেই সুখ। পরাণেরও তাই। মাঝে মা...