@লেখক
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন বহুমুখী বাঙালি লেখক, বিশেষ করে রম্য রচনা–এর জন্য তিনি খ্যাত। বাংলা সাহিত্যে তার হাসির গল্প সতেজ ও তীক্ষ্ণ। তাঁর রচনায় যেমন আছে প্রাণবন্ত হাস্যরস ও সামাজিক ব্যঙ্গ, তেমনি তার রম্যতা পাঠকের মনে জায়গা করে নেয়। তিনি পরিচিত উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনায়; বিশেষ করে “লোটাকম্বল”–এর ধারাবাহিক প্রকাশ “দেশ” পত্রিকায় যখন শুরু হলো, তখন পড়ে অনেকের মন জয় করে নেয় ।
জন্ম ১৯৩৬ সালে কলকাতায়, শৈশব কেটেছে ছোটনাগপুর মালভূমি-তে। এরপর তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে রসায়নে অনার্স করেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন; এককালে তিনি একটি রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানে এনালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন । এই সময়ে তিনি লিখতে শুরু করেন, বেতার ও দূরদর্শনে শিল্পসংক্রান্ত লেখা প্রকাশিত হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে তিনি আনন্দবাজার–এর “দেশ” পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। প্রথম প্রকাশিত গল্প ছিল “সারি সারি মুখ”, আর প্রথম ধারাবাহিক উপন্যাস ছিল “জীবিকার সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ” (ছদ্মনাম ‘সঞ্জয়’)। প্রথম উপন্যাস “পায়রা”ও শারদীয় “দেশ” পত্রিকায় রিগনফায়ার হয়েছিল।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র
১। পায়রা, ২। ক্যানসার, ৩। তৃতীয় ব্যক্তি, ৪। তুমি আর আমি, ৫। বসবাস, ৬। অচেনা আকাশ, ৭। হেটমুন্ডু উর্দ্ধপদ, ৮। ফিরে ফিরে আসি, ৯। একে একে, ১০। কামিনী কাঞ্চন।
এই উপন্যাস গুলোকে বলা হয় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় দশটি উপন্যাস।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় হাসির গল্প ও রম্য রচনা
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় হাসির গল্প–এ যেমন রয়েছে সূক্ষ্ম সমাজ-ব্যঙ্গ, তেমনি রম্য রচনা–তে তার স্বতন্ত্র স্বর ও বুদ্ধিমত্তা মিশে আছে। বিশেষ করে ছোটদের জন্য লেখা “বড়মামা সিরিজ” তাদের কল্পনাপ্রবাহকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
তার সাহিত্যে জীবন আর হাসির মিশ্রণে বাংলা সাহিত্যপ্রেমীরা খুঁজে পান লोहাই মানসিক তৃপ্তি। এমনকি লেখার মাধ্যমেই তিনি বাংলার জনপ্রিয় ছোটগল্প ও প্রবন্ধ–কে নতুন গতি দিয়েছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
আনন্দ পুরস্কার – ১৯৮১
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার – ২০১৮ (‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’-এর জন্য)
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার – ২০২৩
ফলোয়ার্স
বইসমগ্র