@লেখক
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ নামে। তাঁর পিতার নাম মীর আবদুর রব, মাতার নাম রওশন আরা মীর। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে, এরপর ঢাকায় এসে কবিতার দিকে মনোযোগ দেন।
সাহিত্যজীবন ও কাব্যগ্রন্থ
আল মাহমুদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি? → লোক লোকান্তর (১৯৬৩) যা তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে নিয়ে আসে।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আল মাহমুদের কাব্যগ্রন্থ: কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬)
এই গ্রন্থগুলো অসংখ্য আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা ধারণ করে, যেমন সোনালী কাবিন-এর কবিতাগুলো। তিনি আল মাহমুদ কবিতা সমগ্র নামক সংকলনেও শীর্ষে স্থান পান।
আল মাহমুদের বিখ্যাত কবিতা-এর মধ্যে রয়েছে বিপ্লবপ্রধান কবিতা, স্বাধীনতার অনুভূতিপূর্ণ কবিতা*, প্রেমের কবিতা*সহ বিভিন্ন ধারার প্রকাশ।
উপন্যাস, গল্প ও সাংবাদিকতা
তিনি বিস্তারিত ভাবে উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছেন, যেমন আল মাহমুদের উপন্যাস: কবি ও কোলাহল (১৯৯৩), কাবিলের বোন (মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক) ও অন্যান্য।
আল মাহমুদের গল্পসমগ্র-এর মধ্যে রয়েছে: পানকৌড়ির রক্ত, গল্পসমগ্র, প্রেমের গল্প ইত্যাদি।
তিনি দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন (১৯৭২–৭৪), যা আল মাহমুদ কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন—এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর।
স্বীকৃতি ও সমালোচনা
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৮)
একুশে পদক (১৯৮৬)
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২৫)
জসীম উদ্দিন, জীবনানন্দ, লালন পুরস্কার প্রভৃতি বহু সম্মাননা লাভ করেন।
আল মাহমুদ বিপ্লবী কবিতা ও স্বাধীনতার কবিতা লিখেছেন, যা ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ও আদর্শকে উন্মোচিত করে। জনজীবনের সংগ্রাম ও নিপীড়নের প্রতিফলন তার কবিতায় পাওয়া যায়। তিনি আল মাহমুদের কাব্যগ্রন্থ-এর মাধ্যমেই নিজের অধিষ্ঠান করে নিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যে।
উপসংহার
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে আল মাহমুদ কবিতা সমগ্র, কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে বহুমাত্রিক অবদান রেখেছেন। তার সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ও ‘গণকণ্ঠ’ সম্পাদকত্ব তাকে স্থায়ী ভাবে স্মরণীয় করে রেখেছে।
ফলোয়ার্স
বইসমগ্র